নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কাউন্সিলর মকসুদ গ্রেফতার

    বিএম ডেস্ক : নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    কাউন্সিলর মকসুদুল আলমকে ঢাকা এবং তার সহযোগী জাবেদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান।

    তিনি বলেন, আটকৃত দুই জনকে ফেনীতে আনা হচ্ছে ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে।’

    ওই মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামী সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ ৫ দিনের রিমান্ডে আছে।

    এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখোনও পলাতক রয়েছেন- সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের ও নুর উদ্দিন।

    গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

    এর আগে ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

    আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। টানা ১০৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানেন এই ছাত্রী।

    বিএম/রনী/রাজীব