নুসরাত হত্যা : কেরোসিন বহনকারী মনি আটক

    নুসরাত

    বিএম ডেস্ক : মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কামরুন নাহার মনি নামে আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    ফেনী জেলা পিবিআিইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    সন্দেহভাজন মনি নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের সম্পর্কে ভাগ্নি। হত্যার দিন মনি এক লিটার কেরোসিন বহন করে মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়েছিল। পিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে মনিকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

    এর আগে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহাদাত হোসেন শামীমকে আটক করে পিবিআই। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম তুলাতলি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার ও একজনকে আটক করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

    এদিকে রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

    প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।

    এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়া হয়।

    বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর গত ৮ এপ্রিল তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১০)।

    বিএম/রনী/রাজীব