মেক্সিকো থেকে চিলি অঞ্চলে ভয়ঙ্কর ক্রন্দনরত এক নারী আছেন। যাকে মাঝে মাঝে দেখা যায়। এই নারী ভয়ের সঞ্চার করেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই নারীর আদি বাস দক্ষিণ আমেরিকাতে। সেখানকার লোককাহিনীতেও উল্লেখ আছে ক্রন্দনরত এই নারীর কথা।
এবার তিনি এসেছেন ঢাকায়। এখানেও তিনি ভয় ছড়াবেন। মূলত ক্রন্দনরত এই নারীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা। ১৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কার্স অব লা লোরোনা’ সিনেমাটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি। মাইকেল কেভস পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন লিন্ডা কারডেলিনি, রেমন্ড ক্রুজ, প্যাট্রিসিয়া ভ্যালাসকেজসহ আরও অনেকে।
দক্ষিণ আমেরিকার লোককাহিনীতে লা লোরোনা এক ক্রন্দনরত নারী যে পানির কাছে থাকে এবং তার হারিয়ে যাওয়া সন্তানের জন্য কাঁদে। আর ‘লা লোরোনা’র অভিশপ্তরা লা লোরোনার মতো হয়ে যান।
কি করে তার বাচ্চা হারিয়ে গিয়েছিল তার গল্প একেক দেশে একেক রকম, কিন্তু বেশীরভাগ গল্পেই একই ধরণের কিছু বিষয় আছে। এক গল্পে আছে যে এক নারী তার থেকে ধনী পুরুষ বিয়ে করেছিল, উপেক্ষিত আর পরিত্যক্ত হওয়ার পর তার রাগ উপশম করতে চেয়েছিল বাচ্চাকে ডুবিয়ে মেরে ফেলে, আর পরে তার এই সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হয়েছিল।
আর এক সংস্করণে একজন চঞ্চল তরুণীর কথা আছে যে তার বাচ্চাকে নদীর ধারে একটা পাথরে রেখে নাচ করতে যায় এই ভেবে যে ওখানে তার বাচ্চা নিরাপদ থাকবে, আর তার পর নদীর পানি বেড়ে তার বাচ্চাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, আর তাই এই মহিলা নদীর কাছে থাকে আর সবাইকে জিজ্ঞাসা করে যে তারা তার বাচ্চাকে দেখেছে কিনা!
এই লোককাহিনী অবলম্বনেই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য কার্স অব লা লোরোনা’। এতে অ্যানা গার্সিয়া নামে এক মার্কিন সমাজকর্মী তার দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ঙ্কর সব ভৌতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে দেখা যাবে।
