গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে দস্তগীরের মত সাহসী নেতার প্রয়োজন-শাহাদাত

    দস্তগীর চৌধুরীর স্মরণ সভায় শাহাদাত

    বিএম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাবেক ডেপুটি মেয়র ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব দস্তগীর চৌধুরী একজন নির্লোভ, নিরহংকারী ও চট্টগ্রাম দরদী মানুষ ছিলেন। তার চিন্তা চেতনা দিয়ে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে আজীবন কাজ করে গেছেন।

    মুক্তিযুদ্ধে দস্তগীর চৌধুরীর সাহসী ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। শুধু চট্টগ্রামের নেতা ছিলেন না, দস্তগীর ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের নেতা। চট্টগ্রামে বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তার মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। বর্তমানে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে দস্তগীর চৌধুরীর মত সাহসী নেতার খুবই প্রয়োজন।

    তিনি আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বাদে জুমা নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহানগর বিএপি আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    স্মরণ সভায় ডা: শাহাদাত আরো বলেন, দস্তগীর চৌধুরী একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে খেলাধূলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গণ ও দস্তগীর চৌধুরী এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। একজন কর্মনিষ্ঠ ও সজ্জন মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বমহলে সমাদৃত। দস্তগীর চৌধুরীর অকাল প্রয়ানে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম দস্তগীর চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন বরেণ্য রাজনীতিবীদ ছিলেন। মেহনতি মানুষের পক্ষের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নিবেদিত। ’৭১ সালে দেশের মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন অমৃত বিক্রমে। মরহুম দস্তগীর চৌধুরী বিএনপি গঠনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে এবং আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ডেপুটি মেয়র থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টি ভঙ্গি কখনোই বিসর্জন দেননি। চট্টগ্রামবাসি ও বিএনপি পরিবার চিরদিন দস্তগীর চৌধুরীকে স্মরণে রাখবে।

    স্মরণ সভার পূর্বে বাদে জুমা দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    মুনাজাতে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রোগমুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় স্মরণ সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, মো: শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, শামসুল হক, সম্পাদকবৃন্দ- এম.আই. চৌধুরী মামুন, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, মো: ইব্রাহিম বাচ্চু, আব্দুল বাতেন, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী মো: সালাউদ্দিন, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদকবৃন্দ- আব্দুল হালিম স্বপন, মো: ইদ্রিস আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, আবু মুছা, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহিন, হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, মো: আলমগীর, এড. সৈয়দুল আমিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস.এম মফিজ উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল ছগির, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: এমরান উদ্দিন, হাসান উসমান চৌধুরী, মনজুরুল কাদের, আবু ফয়েজ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ-মো: আব্দুর রাজ্জাক, নাছিম চৌধুরী, শেখ রাসেল, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, আসাদুর রহমান টিপু, মো: তানভীর মল্লিক, মো: নওশাদ, মো: সালাউদ্দিন, আবু বক্কর ছিদ্দিক, রফিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন খান প্রমুখ।

    বিএম/রাজীব..