নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অর্থ লেনদেনে কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

    বিএম ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় অবৈধ অর্থের লেনদেনে বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

    শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, তদন্ত অনুসন্ধান ও তথ্য প্রমাণ নিয়ে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করবে সিআইডি।

    সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সংবাদ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিংবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোনো অবৈধ লেনদেন হয়েছে কিনা কিংবা কে বা কারা এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সেসব খুঁজে করতে কাজ শুরু করছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।

    ওদিকে হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ফেনীর সোনাগাজী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পি বি আই। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন রুহুল আমিন আজ দিনের কোন এক সময় আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে পারেন।

    গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।