শমী কায়সারকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান

    বিএম ডেস্ক : সাংবাদিকদের সঙ্গে অভিনেত্রী এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের ‘নিকৃষ্ট দুর্ব্যবহারের’ নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

    বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, একজন শহীদ সাংবাদিকের মেয়ে হয়ে পিতার পেশার উত্তরসূরিদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করে শমী কায়সার প্রকারান্তরে তার পিতাকেই নিকৃষ্টভাবে অসম্মান করেছেন। শুধু তাই নয়, একজন সেলিব্রেটি হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মোবাইল ফোন হারানোর’ সূত্র ধরে যে আচরণ করেছেন তা সেলিব্রেটিদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার মতো একজন অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।

    বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা এ ধরনের নিকৃষ্টতম দুর্ব্যহারের জন্য সাংবাদিক সমাজের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা যত বড় সেলিব্রেটিই হোন না কেন তার সংবাদ বর্জন করা হবে। প্রয়োজন হলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে সাংবাদিক সমাজ নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করে জাতিকে বিস্তারিত জানাতে বাধ্য হবে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা এ ধরনের নিকৃষ্টতম দুর্ব্যবহারের জন্য সাংবাদিক সমাজের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা যত বড় সেলিব্রিটিই হন না কেন তার সংবাদ বর্জন করা হবে।

    এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ও কটূক্তি করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে সব ধরনের গণমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠন দুটির নেতারা এই ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শমী কায়সারকে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দেন।

    ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রুকন, সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

    সমাবেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কদম ফোয়ারা হয়ে তোপখানা রোড ও পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে।

    প্রসঙ্গত, বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের সামনে চুরি হয় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন। এ সময় তিনি সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করান।

    এ সময় কেউ কেউ বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে।

    পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

    বিএম/রনী/রাজীব