সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান মিয়াজীকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন

    কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুন্ড : সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজীকে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসীন জাহাঙ্গীর কর্তৃক হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে রাজনৌতিক ব্যাক্তি, স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করে। মহসড়কে অনুষ্ঠিত এক ঘন্টার উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আ.ম.ম দিলসাদ।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাড়বকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জাফর উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, নাজীম উদ্দীম,মনির আহমেদ, তাজুল ইসলাম নিজামী, রেহান উদ্দিন রেহান, শওকত আলী জাহাঙ্গীর মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর সফিউর রহমান মুরাদসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

    জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে সীতাকুণ্ড মডেল থানার একদল পুলিশ গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বাড়বকুণ্ড এস কে এম জুট মিলস সংলগ্ন এলাকার একটি লাউ বাগানে অভিযান যায়। ওখান থেকে ইমাম হোসেন ওরফে ইমন (৩৬) ও আবদুল আজিজ সুমন (৩৩) নামে দুই সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    কিন্তু সন্ত্রাসীদের জবানবন্ধি ও পুলিশের তথন্তে কেচু কুড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা। আটক সন্ত্রাসীরা আদালতে জবানবন্ধী দেয় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজীকে হত্যা করার জন্য এ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসীন জাহাঙ্গীর তাদের ভাড়া করেন। ভাড়ার জন্য ৫লাখ টাকাও তাদের দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান ছাদাকাতকে হত্যা করতে তার বাড়ি ও বাসাতে একাধিকবার চেষ্ঠা চালায়। কিন্তু চেয়ারম্যান বাসাতে না থাকায় বেঁচে যান।

    মামলার তদন্তকারী অফিসার আটক দুই সন্ত্রাসীসহ সাবেক চেয়ারম্যান মহসীন জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। আদালতে দেওয়া চার্জসীটে সন্ত্রাসীদের দেওয়া তথ্য ও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    কিলার গ্রুপ একাধিকবার পরিকল্পনা মতো অভিযান চালিয়েও হত্যার করতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে কিলারগ্রুপের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়। অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। আটককৃত অস্ত্রধারীরা চেয়ারম্যান হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি আদালতে জবানবন্ধি দেন।

    বিএম/কামরুল/রাজীব..