ডিমলায় গৃহবধু নির্যাতনে বাধা দিতে গিয়ে ৫ জন আহত:দুই ভাই গ্রেফতার

    বেরাইজ্যে সুমন গ্রেফতার

    মারুফা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের কারনে দীর্ঘদিন থেকে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।

    বোরবার(২৬মে)সকালে তাকে বেধরক মারপিট করার সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে গেলে তাদের ৫জনকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলি গ্রামের এ ঘটনায় জড়িত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সুত্র জানা যায়, ২০১০ সালের ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলি গ্রামের মজনু মামুদের পুত্র শাহ আলমের সাথে একই গ্রামের সফিয়ার রহমানের কন্যা মারুফা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় ২লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করলেও আরও ১লক্ষ টাকার দাবীতে মারুফার উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।

    বোরবার টাকার জন্য মারডাং করে রুমের ভিতরে তালা দিয়ে রেখে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য মারুফার পরিবারকে সংবাদ দেয়া হয়।

    মারুফার পরিবার সেখানে তাকে উদ্ধার করতে গেলে স্বামী শাহ আলম (৩২),তার ছোট ভাই মানিক (২৮), আবেদ (২৫) ও মা বেগম (৫৫) তাদের উপর হামলা করেন। এ সময় মারুফার ভাই মোকছেদ আলী (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৩০),মোনাবুল (১৫), তার মা মোসলেমা বেগম (৫৫)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থান মারুফাসহ ৫জনকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মোকছেদ আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
    ডিমলা থানার পিএসআই আবুল কালাম এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানিক ও আবেদসহ দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে।

    গ্রেফতারকৃতরা নির্যাতরে শিকার গৃহবধু মারুফার দেবর ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলি গ্রামের মৃত মজনু মামুদের পুত্র।
    ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    বিএম/মহিনুল ইসলাম সুজন/রনী