রুহিয়ায় প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন! ইউএনও এর বক্তব্যে শিক্ষকদের ক্ষোভ!

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়ায়
    প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার পূর্বে ইউএনও’র ব্রিফ্রিংয়ের পরে দায়িত্বরত শিক্ষকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

    জানা গেছে, গত ৩১ মে শুক্রবার সকাল ১০
    টা ৩০ মিনিটে রুহিয়া’র ৩টি কেন্দ্র যথাক্রমে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ, রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও রুহিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর নির্ধারিত সংখ্যা ছিল ৩ হাজার। এর মধ্যে ৭০৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

    পরীক্ষা শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম। উক্ত ৩টি কেন্দ্র দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা। তিনি সকাল ১০ টায় রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ হলরূমে উক্ত কেন্দ্রে কক্ষ প্রত্যবেক্ষক এর দায়িত্বে থাকা ৭০ জন শিক্ষককে বিফ্রিংয়ের উদ্দেশ্যে একত্রিত করেন। ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “যদি কোন শিক্ষকের নিকট মোবাইল ফোন বা কোন ডিভাইস থাকে তাহলে তার চাকুরি থাকবে না।” এ কথার প্রেক্ষিতে উপস্থিত শিক্ষকেরা প্রতিবাদ করতে চাইলে
    তিনি উক্ত কেন্দ্র থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে শিক্ষকেরা ইউএনও’র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দায়িত্ব পালন করবেননা মর্মে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে এক পর্যায়ে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উক্ত কেন্দ্রে প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা রুহিয়া
    গিন্নীদেবী আগরওয়াল মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমরা শিক্ষকরা ইতিপূর্বেই পরীক্ষার নিয়ম-নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, পরীক্ষা শতভাগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর তা সত্ত্বেও ইউএনও মহোদয়ের উক্ত বক্তব্য আমাদেরকে কুঠারাঘাত করেছে।”

    রুহিয়া টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজের সহকারি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কথায় কথায় বেসরকারি শিক্ষকদের চাকুরি খাওয়ার কথা বলা দুঃখজনক ব্যাপার।”

    রুহিয়া গিন্নীদেবী আগরওয়াল মহিলা কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “ইউএনও মহোদয়ের বক্তব্য শিক্ষক সমাজের মানসম্মান ক্ষুন্ন করেছে। যা আমরা এরকম একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নিকট আশা করিনি।”

    রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, “ইউএনও’র বক্তব্যের সময় আমি ছিলাম না তাই জানিনা তিনি কি বক্তব্য দিয়েছেন।” তবে শিক্ষকদের শান্ত করার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা বলেন, “আমি এরকম কোন হুমকি-ধামকি দেইনি।”

    বিএম/গৌতম/রনী