১৫ মে দেশে ফেরার প্রস্তুতি ওবায়দুল কাদেরের

    সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনেকটাই সেরে উঠেছেন। অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারছেন।

    এমতাবস্থায় শিগগিরই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। চলতি সপ্তাহ শেষে দেশে ফিরতে পারেন তিনি। এমনটিই জানিয়েছে তার সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকা একটি সূত্র। সেই লক্ষ্যে আগামী ১৫ মে একটি ফ্লাইটে দেশে আসার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।

    ওবায়দুল কাদের দেশে এসে আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এমন আশা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীরসঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন এমন আশা আমরা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট নিরসনে এই সেতু দুটি বড় ভূমিকা রাখবে এমন আশা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি দেশে থাকাবস্থায় বহুবার সরেজমিনে সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।

    মাসখানেক আগে ওবায়দুল কাদেরের অনুপস্থিতিতেই দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধন করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন- ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তাকে নিয়েই সেতু দেখতে যাবেন।

    এদিকে ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন তথ্য দিয়েছেন তাকে দেখে আসা আওয়ামী লীগ নেতারা। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদএক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।

    গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুমন্ত্রী এখন অনেকটাই স্ট্যাবল। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার পরই দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ দিন পরই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।

    শেখ ওয়ালিদ জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের দুই সপ্তাহ পর দেশে ফেরার আশাবাদ প্রকাশ করেন।

    বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন।

    ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।

    বিএম/রনী/রাজীব