৫৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ঘূর্ণিঝড় ফণীতে

    ঘূর্ণিঝড় ফণীতে সারাদেশে ৫৩৬ কোটি ৬১ টাকা সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান।

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্ত:মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সময়ন্বয় কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলায় একজন, নোয়াখালীতে একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন, বরগুনায় দুইজনসহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হন ৬৩ জন। ২ হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর, মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮০৪ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার ও ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

    ফণী কবলিত জায়গায় কৃষকের ঋণ মওকুফ করার পাশাপাশি কৃষকদের ভর্তুকি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ০৬ মে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ১৪ হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৪ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি প্রদান করা হয়। এছাড়াও গত ৩ মে থেকে ৪ মে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪১৭ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়।

    তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ে ঘর-বাড়ির ক্ষতির পরিমাণ ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর বাঁধের ক্ষতি হয়েছে ২৫১ কোটি টাকা। উপদ্রুত এলাকায় মাছের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বন-পরিবেশে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি টাকা। ২৪০টি জায়গায় ২১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মেরামত করতে ২৫১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

    কৃষি বিভাগের ৩৮ কোটি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত পুনর্বাসন ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

    এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/রনী/রাজীব