পুরনো গোশতে রক্ত মিশিয়ে তাজা বলে বিক্রি

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় গরুর গোশতের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানে দেখা গেল ভয়ঙ্কর চিত্র। মেয়াদোত্তীর্ণ গোশতকে তাজা বলে চালানোর জন্য গরুর পুরনো রক্ত মেশানো হতো গোশতে। আর মহিষের গোশতকে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হতো গরুর গোশত বলে।

    শুক্রবার (১০ মে) উপজেলা সদরের সড়ক বাজারে গোশতের দোকানগুলোতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শরিফুল হক ক্রেতা সেজে এ অভিযান চালিয়ে রেফ্রিজারেটর থেকে বোতলভর্তি গরুর পুরনো রক্ত জব্দ করেছেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক সাধারণ ক্রেতা সেজে সড়ক বাজার এলাকার সবক’টি গরুর গোশতের দোকান ঘুরে দাম এবং মান পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে আখাউড়া থানা পুলিশ ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয় দোকানগুলোতে।

    দোকানগুলোর রেফ্রিজারেটর খুলতেই সবার চোখ যেন ছানাবড়া! সেখানে বোতলে করে রাখা হয়েছে গরুর পুরনো রক্ত। পরে বোতলভর্তি রক্ত জব্দ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস সংরক্ষণ এবং গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রয় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ওই দোকানগুলোকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস জব্দ এবং তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরবর্তীতে এসব অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠিন শাস্তির ব্যাপারে দোকান মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরণের অভিযান পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে বলেও জানান তিনি।

    বিএম…