লক্ষীছড়িতে সাওতালদের শশ্বানসহ ২০ একর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির লক্ষিছড়ি উপজেলার র্দুগম এলাকা ২২০ নং মুয়রখীল মৌজায় সাওতালদের শ্বশানসহ ২০ একর জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। লক্ষীছড়ি সদর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: রেজাউল করিমসহ ভুমি খেকো একটি চক্র এসব ভূমি দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

     

    * স্বাধীনতার পূর্বে খাস দখলিয় জমি * ২০একর সম্পত্তি দখল করছে ভূমি খেকো চক্র * অসহায় সাওতাল আদালতে মামলা করে উপকার পাচ্ছেনা কাগজ পত্র না থাকায় * ভুমি বেচা-বিক্রয় কারীরা একে অপরের আত্মীয় * মামলার ভয়ে প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছেনা কেউ * জমি বিক্রয় হচ্ছে বড়-বড় কোম্পানির নিকট মোটা অংকে। প্রশাসনে হস্তক্ষেপে সাওতালরা থাকতে পারে তাদের জন্ম স্থানে। রক্ষা পাবে শশ্বান ।

    ওই এলাকার মৃত রঞ্জন ভীমের ছেলে বাবুল ভীম ও নিলকন্টের ছেলে পবন ভীম (কার্বারী) অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে থেকে সাওতালদের ৫০ পরিবার তাদের দখলীয় ২০ একর সম্পত্তি ভোগ করে আসছে।

    তারা বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে আমরা লক্ষীছড়ির ২২০নং মুয়রখীল মৌজায় বিভিন্ন স্থানে খাস দখল দার হিসাবে দীর্ঘ ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের পিতাকে এই এলাকায় সমাধি করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ভুমি খেকো চক্রের হাত থেকে আমাদের শশ্বানটি ও রক্ষা করতে পারছি না।

    ২২০ নং মূয়রখীল মৌজার ৫১,৫২,৫৩ হোল্ডিং এর মালিক কোন দিন এই এলাকায় অবস্থান করেন নাই। ক্রেতা আবুল কালাম এবং আনোয়ার হোসেন, বর্তমানে মো: রেজাউল করিম মেম্বারসহ একদল ভুমি খেকো দফায়- দফায় আঞ্চলিক দলিল ও এভিডিভিট হলফ নামা মুলে বিভিন্ন জনকে মালিক সাজিয়ে তাদের দখলিয় সম্পত্তি বেচা-বিক্রি শুরু করেন।

    জানা যায়, আবুল কালাম এবং আনোয়ার হোসেন, বর্তমানে মো: রেজাউল করিম মেম্বার তারা নিজেরা নিজেদের আত্মীয় স্বজন। গাজী গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এসব জমি ক্রয় করার উদ্দ্যোগ নিলে চক্রটি লোভে পড়ে এসব জমি বিক্রয়ের জন্য মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে অসহায় সাওতালদের উপর যার-যার পেশি শক্তি প্রয়োগ করছেন।

    প্রতিবাদ করলে নানা হয়রানি মূলক বিভিন্ন ধরনের মামলা দিচ্ছে সাওতালদের। গাছকাটা, মারধর, অস্ত্রমামলাসহ নারী নির্যাতন মামলা  ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন বর্মমান ক্রেতা রেজাউল মেম্বার।

    আমরা মামলা দিয়ে হেরে যাই আমাদের নিকট কোন প্রকার কাগজ পত্র নাই। আমরা দখলদার ভোগ দখলে দীর্ঘ দিন আবাদ করে আসছি।
    আবুল কালাম হাওলাদার ও আনোয়ার হোসেন বলে আমারা ক্রয় সুত্রে মালিক আমরা ক্রয় করেছি শাহাজান, পিতা- মুকছেদ মোল্যা থেকে ৫২নং হোল্ডিং মশিয়ার রহমান, পিতা- মৃত ফুল আলী থেকে ৫২নং হোল্ডিং, মো: লুৎফর রহমান, পিতা- মৃত-জাবেদ আলী মোল্যা থেকে-৫৩নং হোং মোট পনেরো একর আরো বাকী ৫একর খাস সম্পত্তি রয়েছে। আমরা বিবাধ দেখে মো: রেজাউল করিম মেম্বার এর ন্টি বিক্রয় করে দেই। বর্তমানে এই সম্পত্তি নিয়ে ৫০টি সাওতাল পরিবার ও তাদের একমাত্র শশ্বানটি নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়ে আছে তাই আমরা বিক্রয় করে দেই।

    অন্য দিকে বর্তমান আঞ্চলিক দলিল ক্রয়সুত্রে মালিক মো: রেজাউল করিম মেম্বার জানান আমি ক্রয় সুত্রে ৫১,৫২,৫৩হোল্ডিং এর মালিক আমি সাওতালদের নামে উচ্ছেদ মামলা দিয়েছি তাহারা আদালতে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই।

    লক্ষীছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বলেন জমিজমা কেন্দ্র করে সাওতাল সাথে অন্য জনের বিভিন্ন মামলা মোকদ্ধমা হয়ে আসছে।

    লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী বলেন সাওতালদের জমি ও শশান দখল এই বিষয় নিয়ে অনেক আগ থেকে বিরোধ চলে আসছে।

    বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য উপজেলা প্রসাশন ও স্থানীয়দের নিয়ে অনেক বার মিমাংসার জন্য বসার আহবান জানিয়েছি। কিন্তু কোন এক অপশক্তির কারনে বসা হচ্ছেনা।

    বিএম/আলমগীর হোসেন/রাজীব..