বিশ রোজার পরে ওয়াসাকে রাস্তা খোড়াখুড়ি বন্ধ রাখতে মেয়রের আহবান

    চট্টগ্রাম মেইল : বিশ রোজা থেকে ঈদ পর্যন্ত নগর জুড়ে রাস্তা খোড়াখুড়ি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার জন্য ওয়াসাসহ সকল সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি আজ বুধবার সকালে সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে প্রকৌশল বিভাগের এক জরুরী সভায় একথা বলেন।

    সিটি মেয়র আরো বলেন নগর জুড়ে ওয়াসার খোড়াখুড়ি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে ওয়াসার কোন সমন্বয় নেই। ফলত চসিক নতুন রাস্তা করে যাওয়ার পর আবার খুড়ে পুরো রাস্তাটি নষ্ট করে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীকে চলাচলে ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে। পবিত্র এই রমজান মাসে এ ধরনের ভোগান্তি কারো কাম্য নয়। এতে করে নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দোষারোপ করে যাচ্ছে। বিষয়টি জনগুরুত্বেও সাথে বিবেচনায় আনতে হবে। তাই চট্টগ্রাম ওয়াসা যে সকল সড়কে খোড়াখুড়ি চালাচ্ছে আগামী শনিবার থেকে সেখানে ফেইস ওয়ার্ক শুরু করার নির্দেশ দেন সিটি মেয়র।

    এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণে সড়কগুলো ফেইস ওয়ার্ক কার্যক্রম চালানো কথা উল্লেখ করে বলেন জনদুর্ভোগ কমাতে ওয়াসার সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমন্বয় করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চসিক প্রকৌশলীদেরকে দিক নিদের্শনা প্রদান করেন।

    তিনি বলেন রাস্তা কাটতে হলে ওয়াসাকে বিশ রোজার আগেই তা সম্পন্ন করতে হবে। এর পর আর কোনো রাস্তা কাটতে দেয়া হবে না। এব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দাপ্তরিকভাবে জানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন এ সময়ের মধ্যে ওয়াসার সাথে চসিক সমন্বয় করে কর্তনকৃত সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করতে হবে। নগরের কোন কোন সড়ক ওয়াসা কর্তক রাস্তা কাটা হবে, তার পুর্ণাঙ্গ তালিকা নিয়মিতভাবে চসিক প্রকৌশলী বিভাগের জমা দেবে ওয়াসা। তিনি প্রকৌশলীদেরকে আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।

    মেয়র আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, পোর্টকানেকটিং রোড, বায়েজিদ বোস্তামী রোড, আরাকান রোড, বেপাড়ীপাড়া রোড ইত্যাদি সম্পূর্ণকৃত টেন্ডারের প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে নিবিড় ভাবে তদারকির জন্য প্রকৌশলীদেরকে পরামর্শ দেন। মেয়র বলেন সংস্থার শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগের সংগে প্রকৌশল বিভাগের কাজের সমন্বয় অতিব প্রয়োজন। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে।

    এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম ,প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম,আনোয়ার হোছাইন, মুনিরুল হুদা, সুদিপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, মোহাম্মদ শহিনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা,ফরহাদুল আলম,প্রকৌলী আবু ছিদ্দিক, অসিম বড়–য়া, আহমদুল হক ও জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর সিটি মেয়র এর সাথে ওয়াল্ডারল্যান্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম মোস্তাফিজুর রহমান এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ওয়াল্ডারল্যান্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে ৫ একর বিশিষ্ট একটি এ্যাকুরিয়াম পার্ক প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এদৎসংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাকুরিয়াম প্রকল্পটি পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

    মেয়র প্রকল্পটি যাছাই বাছাই করে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আশ্বাস দেন। এছাড়া জনাব মোস্তাফিজ ভাইয়া মিডিয়া বিসনেজ সার্ভিক কর্তৃক পরিচালিত আগ্রাবাদ শিশু পার্ক ইজার বিষয়ে মেয়রের সাথে মতবিনিময় করেন।

    আলোচনা সভায় মেয়র বলেন চট্টগ্রামে বসবাসরত শিশু কিশোরদের বিনোদনে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে চসিক ইতোমধ্যে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শিশু পার্ককে আরো আধুনিকতম পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দেন। এ সময় কর্ণফুলি শিশু পার্ক পরিচারক (প্রশাসন) বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার আলহাজ্ব এম এনামুল হক, মি. সিয়াং, হু, চেন, রুই, শিংহু উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/রাজীব সেন..