পটুয়াখালীর মহিপুর থানা হাজত থেকে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইয়াবাসহ আটক ওমর ফারুক রায়হান (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্বার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) গভীর রাতে বাথরুমের ভ্যন্টিলেটরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
মৃত রায়হান ঝালকাঠী সদরের তবিরকাঠী এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র। সে পেশায় বাসের হেলপার।
মহিপুর থানা পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে কুয়াকাটা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে থেকে ১৩ পিস ইয়াবাসহ রায়হানকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের এসআই সাইদুল। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সকলের অগোচরে পরিধানকৃত লুঙ্গি দিয়ে থানা হাজতের ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় ফাস দেয় রায়হান। ওই রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল আহমেদ, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাস এবং কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল আফিসার মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়।
রায়হানের নামে বাকেরগজ্ঞ, ঝালকাঠি, মহিপুর থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে।
কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানান, গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ থানা হাজত থেকে উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএম/রনী/রাজীব