বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ১৬ তালা

    বগুড়া জেলা বিএনপিতে বিদ্রোহ ঠেকাতে চলছে একের পর এক কমিটি বাতিল ও বহিষ্কার। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। পরিবেশ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।

    স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটি বিলুপ্তের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা যুবদলের কমিটি বাতিল করা হয়। এর আগে বহিষ্কার করা হয়েছে কমপক্ষে ১৫ নেতাকে। এতকিছুর পরেও জেলা বিএনপি কার্যালয় দখলে নিতে পারছে না সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি।

    বলতে গেলে বিদ্রোহীদের একের পর এক তালা আর শিকলে জর্জরিত জেলা বিএনপির কার্যালয়। বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না কোনো পক্ষই। প্রতিদিনই কোনো এক পক্ষ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে যাচ্ছে। এভাবে একে একে ১৬টি তালা ঝুলছে বিএনপি কার্যালয়ে। সেইসাথে শিকলও রয়েছে অসংখ্য।

    সর্বশেষ বুধবার রাতে সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের বাসভবনে হামলার পর পুলিশ কঠোর হয়েছে। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষকেই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশে করতে পারবে না। বুধবারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর দুই পক্ষকেই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ নিষেধ করে পুলিশ।

    এদিকে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আহ্বায়ক কমিটি বিরোধীরা বৃহস্পতিবারে আবারো দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এবার তারা আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের পাশাপাশি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে। তবে পুলিশ মিছিলে বাধা দেওয়ায় সামনের দিকে এগোতে পারেনি তারা।

    এদিকে বুধবারে দলীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে গেছে।

    বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ বুধবার রাতে বিরূপ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আলোচনায় বসেনি। এ কারণে আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছি। সমঝোতায় না আশা পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

    জেলা বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, সমঝোতা বৈঠকের আগেই ছাত্রদল নেতা সৌরভকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ কারণে আমরা সমঝোতা বৈঠকে বসতে রাজি না।

    দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত না বসার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এখন নির্বাচনমুখী, এ কারণে নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া হচ্ছে না।

    বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিজেদের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। এ কারণে পুলিশও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করা নিয়ে সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

    বিএম/রনী/রাজীব