মিরসরাইয়ে বাসের বেপোরোয়া গতির বলি হলো পথচারী : আহত ৩০

    মিরসরাই প্রতিনিধি : ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে বাসের গতি বেড়েছে বিপদ জনক ভাবে। এই বিপদ জনক গতির বলি হলো মিরসরাইয়ের এক পথচারী। ২৮ মে সকাল ১১টায় দ্রুত গামী ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহড়াকের বড়তাকিয়া এলাকায় ষ্টারলাইনের একটি দ্রুতগামি বাস উল্টে গিয়ে নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে একই বাসের আরো ৩০জন যাত্রী।

    নিহত পথচারী মহিলার নাম সেতারা আক্তার (৩৫)। সে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের শাহ আলম ভূঁইয়ার স্ত্রী।

    খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লেইনে প্রায় ১৫ মিনিট যানজট ছিলো। পরে দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ি উদ্ধার করলে যানজট নিরসন হয়।

    মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের অফিসার রবিউল আজম রবিন জানান, মঙ্গলবার (২৮ মে) সাড়ে ১১টায় বড়তাকিয়া বাজারের দক্ষিন পাশে বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনে এদূর্ঘটনা ঘটে। এতে এক পথচারী মহিলা ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মুলত পথচারী মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে ষ্টার লাইনের ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩২৭১ নং বাসটি উল্টে যায়। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রেরন করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ষ্টারলাইন বাসটির গতি ছিল বিপদজনক। বাসটির গতি অনুমান করতে পারেননি পথচারী মহিলা। নিরাপত দূরত্ব দেখেই রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চোখের পলকেই সামনে চলে আসে বাসটি। মহিলাকে বাচাতে দ্রুত ব্রেক করলে বাসটি ঘটনাস্থলেই উল্টে গিয়ে চাপা দেয় তাকে। এতে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় তার।

    উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঈদ এলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে দূর পাল্লার যাত্রী বাহি বাস গুলো। ঈদে ঘর মুখো মানুষ গুলো সহজে বাড়ি যাওয়ার জন্য পণ্য বাহি গাড়ি বন্ধ করে দওয়া হয়। এতে মহাসড়ক এক প্রকার ফাকা হয়ে যায়। এই ফাকা রাস্তায় বেপরো গতিতে গাড়ি চালায় বাস চালকরা।

    অতি গতি থাকায় অনেক সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। এতে দূর্ঘটনায় পড়ে প্রতি বছর ঈদের সময় বহু জীবন হানি হচ্ছে। ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয় নিহত ও আহতের পরিবার গুলো।

    বিএম/আশরাফ/রাজীব..