স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতি বিষয়ক সভা শেষ এ কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এ বছরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ত কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে, মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত পূর্ত কাজ শেষ করতে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এর বাইরেও আরও কিছু কাজ আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সম্পূর্ণ রুটের ট্রায়াল রান শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রো রুটের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, মেট্রো রুট-১ এর কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। প্রায় ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে থাকছে দুটি অংশ। প্রথম অংশ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশ পূর্বাচল রুট যা নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত। বিমানবন্দর রুটে ২০ কিলোমিটার বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেট্রো রুট ১ এর সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। মূল নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ প্রান্তে। এ রুটে নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। এ রুটের সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি অংশের বা প্রায় চার হাজার কোটি টাকা লোন এগ্রিমেন্ট জাপানে সফররত প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আজ স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
কাদের বলেন, মহানগর পূর্ব থেকে পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে মেট্রোরেল রুট ৫ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি হবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ রুটে প্রায় ১৪ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল। রুট ৫ এর নর্দান অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। রুট ৫ এর সাউদার্ন অংশ হবে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত; যার প্রায় ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার ইফতারে সমস্যা হলে সরকার তার বিষয়টি দেখবে। তবে মির্জা ফখরুল যদি ইফতারের প্রসঙ্গটি সংসদে এসে বলতেন, তাহলে তার বক্তব্যে আরও শক্তিশালী হতো।
মন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার আগে মেট্রোরেলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক। তিনি জানান, জাপানি মেট্রোরেলের যাত্রীবাহী কোচ নির্মাণের কাজ গত এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ জুনে প্রথম মেট্রো ট্রেন সেট বাংলাদেশ পৌঁছাবে। বাংলাদেশের ট্রেন পৌঁছানোর পর জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হবে।
বিএম/রনী/রাজীব