ইন্দোনেশিয়ায় দিয়াশলাই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩০

    ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ সুমাত্রার একটি দিয়াশলাই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে দ্বীপটির উত্তরের ল্যাঙ্ক্যাপ জেলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৩টি শিশুও রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    দুর্ঘটনা কবলিত কারখানাটিতে প্রায় ৩০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করতেন।

    ল্যাঙ্ক্যাপ জেলার স্থানীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ সংস্থার কর্মকর্তা ইরওয়ান সেয়াহরি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে নিহতদের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে তাদের অনেককেই সনাক্ত করা যাচ্ছে না।

    উত্তর সুমাত্রার পুলিশের মুখপাত্র তাতান দিরসান আতমাজা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    বিনজায় পুলিশ প্রধান নুগরোহো ত্রি নূরহায়োতো বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি। নিহত সবাই কারখানার ভেতর আটকা পড়েছিলেন। সেখানে বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না। মাত্র তিনজন সেখান থেকে বের হতে পেরেছেন।

    তিনি বলেন, আমরা নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারখানায় শিশুরা কী করছিল সেটা বুঝতে পারছি না। তবে কারখানা থেকে উদ্ধার করা এক শিশু জানিয়েছে, দুপুরে সে তার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিল।

    স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান ইরওয়ান শেয়ারি বলেন, সম্ভবত শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। নিহতদের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের সনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে সেখানে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। এর আগে জাকার্তার বাইরে ২০১৭ সালে একটি আতশবাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও কয়েক ডজন ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।

    বিএম/এমআর