নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেছেন, পুলিশ এবং সাংবাদিক একে অপরের বন্ধুসুলভ মনোভাব নিয়ে কাজ করলে সমাজের অপরাধ দূর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকরা প্রতিদিন সকালে বের হন সত্য উদঘাটনের জন্য। পুলিশ সুপার তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সংবাদপত্র সমাজের আয়না। জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছে আর লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি তুলে ধরে সমাজকে কলুষমুক্ত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সাংবাদিকরা।
জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদক হচ্ছে একটি জাতির জন্য অভিশাপ। সমাজের অনেক অপরাধেরই মুল কারন হচ্ছে জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদক। জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের কারনে তরুন সমাজের মেধা বিকাশ চরমভাবে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে। তাই জাতির উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদক। জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তাররোধে তাই পুলিশের পাশাপাশি দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক, সাংবাদিক,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জন প্রতিনিধিসহ সমাজের সবাই মিলে জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম), নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, পৌর কমিশনার মাহাবুর রহমান, আকতার মোল্যা, বুলুদাস, জাহাংগীর সেখসহ ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), বলেন, বর্তমানে নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের সেবার মান আরও উন্নত হবে। যেহেতু মানুষের বিপদের সময়ের প্রধান আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ সেহেতু পুলিশকে তার কাজের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে। এছাড়াও মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে।
বিএম/ইউআর/এমআর