রাউজানে ৯ মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের রাউজান সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সর্বস্থরের প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইয়াবা ও মাদক সেবনকারীদের চিহ্নিত করছে।

    স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতায় এ কমিটি ঈদের পর হতে গত কদিনে ৯ জন ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে বাড়ী থেকে ধরে এনে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছেন। পরে আটককৃতদেরক ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

    গত কয়দিনে দন্ডপ্রাপ্ত মাদক সেবনকারীদের মধ্যে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাদীর ছেলে আবদুল কাদের (৩২) ও একই ওয়ার্ডের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জনি (২৮ কে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

    কারিগর বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে মুহাম্মদ রনি (২৪) কে ৪ মাস ও দাড়িয়াটিলার ফজল আহমেদের ছেলে আসলাম (৩০), বিগ্রেডিয়ার রমিজ উদ্দিন বাড়ীর আবুল খায়েরের ছেলে মুহাম্মদ হারুন প্রকাশ মুনিয়া(২৬), উত্তর সর্ত্তার মৃত ফোরখ আহমেদের ছেলে নুরুল আলম নুরু (৬০) এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে মুহাম্মদ জামসেদ (২৫) কে ৩ মাস করে সাজা প্রদান করা হয়।

    এছাড়া মুহাম্মদ ইউছুফ সওদাগরের ছেলে মুহাম্মদ জনি (২৫) ও মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোছলেম উদ্দিন (৩০) কে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ম্যাজিস্ট্রেট হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ এ টিমে রয়েছে যুবলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন চৌধুরী, এস এম বাবর, রুনু ভট্টচার্য, আলহাজ্জ মাহবুবুল আলম, জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন, সরোয়ার মেম্বার, মুহাম্মদ আলী মেম্বার, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ মনসুর, হাসান মুরাদ রাজু।

    চেয়াম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সাংসদ ফজলে করিমের নির্দেশনায় একটি মাদক বিরোধী টিম মাদক বিক্রেতা ও মানক সেবনকারীদের তালিকা তৈরি করে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। মাদক আর ইয়াবা নির্মুলে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাউজানের হলদিয়া হবে ইয়াবা ও মাদক মুক্ত। গত কদিনে ৯জনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, দন্ডপ্রাপ্তদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি ফটিকছড়ির স্যামলা হাটের ড্রাইভার ফারুক, দক্ষিন ধর্মপুরের তৌহিদ, কুতুব ও জাহানপুরের ইউনুচ ফটিকছড়ি থেকে ইয়াবা ও মদ নিয়ে এসে হলদিয়ার বিভিন্ন স্পটে বিক্রি করে থাকেন। এসব চিহ্নিত মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হলে হলদিয়া ও দক্ষিন ফটিকছড়ি মাদক মুক্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।

    বিএম/রাজীব সেন..