দাবীকৃত চাঁদা পেয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পা ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে দেয়ার মামলার প্রধান আসামী আলোচিত উঠতি সন্ত্রাসী জালাল হোসেনকে এক সহয়োগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তাকে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরীর মোহাম্মদপর খতিবের হাট এলাকা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নেছারুল হক নামের ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগের ভিত্তিতে খতিবের হাট এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে জালাল হোসেন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানাগেছে, করোতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ছোটপুল শাখার সহকারী ম্যানেজার নেসারুল হককে শুক্রবার দুপুরে নগরীর নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সন্ত্রাসীরা জালালের নেতৃত্বে অপহরণ করে।
পরে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। নেসারুল হকের পরিবার পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ নেসারুলকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
বিকাল ৫টার দিকে খতিবের হাট এলাকা থেকে জালালসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আওয়ামী যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী জালাল ২০ মে মুজিব উল্লাহ নামের নগরীর ইউনেস্কো সিটি সেন্টারের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুইলাখ টাকা আদায় করা অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়াও চার এপ্রিল হাদুমাঝিপাড়ার যুবলীগকর্মী আমজাদ নামের এক যুবকের কাছে চাঁদা না পেয়ে পায়ে ড্রিল করার অভিযোগে তার পিতা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
পায়ে ডিল মেশিন দিয়ে চিদ্র করে দেয়ার ঘটনায় সারাদেশে আলোচিত হয়।
এ ঘটনায় জালাল গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার অপহরণসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে।
বিএম/এমআর