রিজেন্ট এয়ারলাইন্সে পাঠানো হল কাতারে আটক পাইলটের পাসপোর্ট

    বিমানের ইঞ্জিন বিকল

    পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যে পাইলটকে আটক করেছে কাতার ইমিগ্রেশন, রিজেন্ট এয়ারলাইন্সে তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

    পাসপোর্ট পাঠাতে বিমানের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। অনুমোদন থাকায় পাসপোর্ট বহনে সম্মত হয়েছে রিজেন্ট এয়ারলাইন্স।

    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই কাতারে তার পাসপোর্ট পৌঁছাবে।

    বিষয়টি সাংবাদিদের নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘ব্যক্তি ছাড়া পাসপোর্ট বহনের জন্য বিমান মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটির সময় এসবের সমন্বয়ে একটু কষ্ট হয়েছে। সব জটিলতা কাটিয়ে আমরা দ্রুত পাসপোর্টটি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’

    ঘটনার তদন্তে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ আগে দেশে আসুক এবং অফিস আদালত খুলুক। তারপর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

    এর আগে বুধবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দেয় কাতার ইমিগ্রেশন। দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

    সূত্র জানায়, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। ভিভিআইপি এ বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সে দেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়।

    আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারও দেশত্যাগ কিংবা অন্যদেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ) আশরাফ হোসেন।

    এদিকে পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে নিজ দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন এটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৮ জুন দোহা বিমানবন্দর হয়ে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে। ফজল মাহমুদের ফ্লাইটটি নিয়ে আসার কথা।

    বিএম/এমআর