চট্টগ্রামে পুলিশ-ছিনতাইকারী ‘বন্দুকযুদ্ধ’: আটক ৩

    চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশীর একটি পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ এবং অপর দুইজন অক্ষত।

    পুলিশের ভাষ্য, তারা তিনজনই ছিনতাইকারী। শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে খুলশী থানার জালালাবাদ পাহাড়ে নীলাচল হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

    নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনার পরিক্রাণ তালুকদার এ খবর নিশ্চিত করেরেছন।

    সিএমপির খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রনব চৌধুরী জানান, গত ২ জুন (রোববার) নগরীর খুলশী থানার ডিআইজি বাংলোর পাহাড়ে গ্রুপ-ফোর কোম্পানির একজন নিরাপত্তাকর্মী ছিনতাইয়ের শিকার হন। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৮৫০ টাকা, একটি মোবাইল সেট ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার সালমান নামে একজনকে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সালমান শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে ছিনতাইয়ে জড়িত আরও তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে সে।

    ওসির দাবি, সালমান জবানবন্দিতে জানায়, ওই তিনজন জালালাবাদ পাহাড়ে অবস্থান করছে। পরে শুক্রবার দিনগত রাতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে।

    এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রুবেল (২১) নামে একজনকে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১৮ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

    ওসি জানান, আটক তিনজনের বাসা নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায়। ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তিনটি ছোরা এবং ছিনতাই করা মোবাইল ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

    ওসি আরো বলেন, ওই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খুলশী থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।

    বিএম/এমআর