এবার ঈদে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি: সেতুমন্ত্রী

    ঈদ যাত্রায় সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেছেন, গতবারের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কম। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মূলত ইজিবাইক-সিএনজির কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আর এসব দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই মারা যায়। রং রুটে ড্রাইভিং ও রাস্তার পাশে যানবাহন রাখায় দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ হয়।

    আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, হাইওয়েতে ইজিবাইক-সিএনজি বন্ধ করতে হলে আমাদের বিকল্প পথে যেতে হবে। কারণ যারা এসব যানবাহন চালান তারা গরীব মানুষ। আর যারা গাড়িতে চলাচল করে তারা বাধ্য হয়েই করে। কারণ ওইসব স্থানে যানবাহন সঙ্কটের কারণে এসব যানবাহনেই চলাচল করতে হয়। আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। এসব যানবাহন আমরা হাইওয়েতে চলাচল না করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।

    সব কিছু বিবেচনা করেই ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় শৃঙ্খলার সঙ্কট রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে কোনো পরিকল্পনা কাজে আসবে না। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি, আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব।

    কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতির গাড়ি টোলবিহীন চলাচল করে। প্রধানমন্ত্রীকেও টোল দিয়ে এই সেতু অতিক্রম করতে হয়। তবে ভবিষ্যতে এই সেতু দিয়ে চলাচল করা অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের গাড়ি টোল ফ্রি করা যায় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।’

    সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হচ্ছে না কেন, সরকার কি পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি নয়। তাদের আন্দোলনের কারণেই সড়ক পরিবহন আইনটি কার্যকর করা যায়নি। আন্দোলনের সময় তারা ছিল ঐক্যবদ্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আলোচনা করে এই আইনটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা করা যায়নি।’

    আপনারা তো বিরোধী দলের আন্দোলন দমিয়ে দিয়েছেন, শ্রমিকদের আন্দোলন থামাতে পারলেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবকিছু ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করা যায় না। আমরা এই আইনটি সমন্বয় করে পুনরায় সংসদে পাস করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

    বিএম/এমআর