নাজমার গর্ভের সন্তানের দাবিদার দুই স্বামী

    ফরিদপুর জেলার নগরকান্দায় স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের দাবি করছেন দুই স্বামী।

    জটিল এক সমস্যা। এই ঘটনায় গ্রামে হইচই পড়ে যায়। দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশ হয়েও কোন ফায়সালা করতে পারেন নি মাতাব্বরগণ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালদি গ্রামের আলমগীর কাজির মেয়ে নাজমা বেগমের প্রায় ১০ বছর পূর্বে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার জুনাসুর গ্রামের বাদশা লস্করের ছেলে ছাবু লস্করের সাথে বিয়ে হয়।

    সেখানে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৮ সালে স্বামী ছাবুকে তালাক প্রদান করে। পরে গোয়ালদি গ্রামের লাল মোল্যার ছেলে হেলাল মোল্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ২০১৮ সালে হেলালের সাথে নাজমার বিয়ে হয়। নাজমা ২০১৯ সালের ১ মার্চ হেলালকে তালাক দিয়ে পূর্বের স্বামী ছাবুর সাথে আবার সংসার শুরু করে। এর মাঝে নাজমা সন্তান সম্ভবা হয়। এই সন্তান উভয় স্বামীই নিজের বলে দাবি করছে।

    ২য় স্বামী হেলাল দাবি করে বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে নাজমা তার বাবা মাকে নিয়ে আমার বাড়ি থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। যাহর দাবিতে গত ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

    তিনি আরও বলেন, নাজমার পিতা আলমগীর কাজি আমার নামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে প্রায়ই আমাকে হুমকি দিচ্ছে।

    অপরদিকে ১ম স্বামী ছাবু সন্তানের দাবি করে বলেন, হেলাল যে যুদ্ধ শুরু করেছে ওকে শায়েস্তা করতে আমার স্ত্রী নাজমাকে দিয়ে হেলালের নামে নারী নির্যাতন মামলা করিয়েছি।

    নাজমা বেগমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নি।

    পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চলছে। অতি শ্রীঘ্রই বিষয়টি মিমাংসা করে দিবো।

    বিএম/এমআর