দাম বাড়বে স্মার্টফোনের

    ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের দাম বাড়বে। কারণ বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, যা বাজেটে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ফিচার ফোনের দাম কমবে।

    বৃহস্পতিবার কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এরপর স্পিকার অর্থমন্ত্রীকে বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। এরপর তিনি অনুমতি নিয়ে বেলা ৩টা ৭ মিনিটে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুরুতে প্রামাণ্য চিত্র দেখিয়ে মূল মূল বক্তব্য শুরু করেন তিনি। অসুস্থতাজনিত কারণে মাঝে মধ্যে বসে বাজেট পাঠ করার অনুমতি নেন স্পিকারের কাছে।

    এরপর তিনি ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বাজেট।

    কিছুক্ষণ বাজেট বক্তৃতা করে ওষুধ চান অর্থমন্ত্রী। এসময় তার ওষুধ গ্রহণের জন্য ৫ মিনিট সময় চান। এরপর আবার বাজেট বক্তৃতা শুরু করতে চাইলেও অসুস্থতা জনিত কারণে পারেননি। এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ফ্লোর নিয়ে দাঁড়িয়ে বলেন, আমার ও আমার অর্থমন্ত্রী দুজনেই চোখের অপারেশন হয়েছে। মন্ত্রীকে ১৫ মিনিট পর পর ড্রপ নিতে হয়। যার কারণে তার পড়তে অসুবিধে হচ্ছে। আমারও পড়তে সমস্যা হয়। তারপরও যতটুকু পারি আমি বাজেট পড়ে দিচ্ছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতার পর থেকে পড়া শুরু করেন।

    বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, আইসিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কতিপয় যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি।

    আমদানি পর্যায়ে ফিচার ফোন ও স্মার্টফোনে বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। ফিচার ফোন কম দামের বলে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে উচ্চবিত্তরা। তাই স্মার্টফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

    এর মধ্যে ট্রানজিস্টরের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, ক্রিস্টাল ডায়োডস ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, চার্জার কানেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ, সিম স্লট ইজেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আইসিটি খাতের সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা দেয়ার কথা বলেন তিনি।

    বিএম/এমআর