বাড়ছে বিড়ি ও সিগারেটের দাম

    বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের মতো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ধূমপান বিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় এর ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

    আগামী বছর সিগারেটের নিম্নতম স্তরের ১০ শলাকার দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা। সম্পূরক শুল্ক ধরা হয়েছে ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৬৩ টকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা। এখানে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্নতম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৫ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য ৪৮ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের দাম ৭৫ ও ১০৫ টাকা। এখানে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।

    এর ফলে নিম্নতর স্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে দামে খুব বেশি হেরফের না হলেও উচ্চতর স্তরের সিগারেটের দাম বেশ খানিকটা বাড়তে পারে।

    ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৪ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর সঙ্গে সম্পূরক শুল্ক থাকবে ৪০ শতাংশ।

    স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিড়ি সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য হলো জর্দা ও গুল। তাই এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটোরই সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।