২১২ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বৃষ্টি বাগড়া দেয়নি, সাউদাম্পটন অপেক্ষায় ছিল গতি আর শক্তির লড়াইয়ের। একদিকে উড-আর্চার, অন্যদিকে গেইল-রাসেল। কিন্তু তাতে আপাতত জয় হলো গতির, ইংল্যান্ডের বোলিংয়ের বিপক্ষে ‘ফুল আন্সারও’ করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অলআউট হয়ে গেল ৫০ ওভারের আগেই। ২১২ রান তাড়া করে জিততে না পেরে ইংল্যান্ড ভীষণই হতাশ হবে। আর জীবন পেয়েও বড় কিছু করতে না পারার আক্ষেপ করবেন গেইল-রাসেল।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আর শুরু থেকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এভিন লুইস ফর্ম হারিয়ে খুঁজছিলেন, ক্রিস ওকসের ফুল লেংথের ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ২ রান। গেইল শুরুতে নিজের মতোই স্লথ ছিলেন, আর্চারকে দুই চার মারার পর ওকসকে চার-ছয় মেরে একটু গা ঝাড়া দিয়ে এলেন। ১ রানের সময় কঠিন একটা ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন, সেটা কাজে লাগাবেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি, ৪১ ভলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন প্লাংকেটের বলে। শাই হোপ শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন, এলবিডব্লু হওয়ার আগে করতে পারলেন ৩০ বলে ১১ রান। ৫৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    পুরান আর হেটমেয়ার পরিস্থিতির দাবি মেটানোর দায়িত্ব নিলেন। দুজনই দারুণ মারকুটে, তবে সিঙ্গেল আর সুযোগ পেলে চার মেয়েই স্কোরকার্ড সচল রাখছিলেন। ইংল্যান্ড এই পরিস্থিতিতে আশ্রয় নিল প্ল্যান বির। স্পিনে হেটমেয়ার হিমশিম খাচ্ছিলেন, শেষ পর্যন্ত ছটফট করতে করতে ৩৯ রানে ফিরতি ক্যাচ দিলেন জো রুটকে। জেসন হোল্ডারও রুটকেই দিলেন ফিরতি ক্যাচ, এবারও উপহারই দিয়ে এলেন। ১৫৬ রানে ৪ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

    আন্দ্রে রাসেল শুরুতেই একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেন, ধরতে পারলেন না ওকস। এরপর চার-ছয়ে নিজের মতো করেই শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেটা আর বেশিদূর হলো না। মার্ক উডের শর্ট বলে শেষ পর্যন্ত প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিলেন উডকে। ২১ রান করে রাসেল আউট, এরপর দৃশ্যপটে আর্চার। পুরান ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন, কিন্তু ৬৩ রান করে ক্যাচ দিলেন। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। কিন্তু বাটলার রিভিউ নিয়ে পেয়েছেন উইকেট। পরের বলে কটরেলও আউট, রিভিউ নিয়ে সেটি হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত সেটার মূল্যই দিতে হয়েছে। ব্রাথওয়েট আউট হয়ে নিতে পারেননি, যদিও বল তার ব্যাটে না, বাহুতেই লেগেছিল। আর্চার আর উডের তোপে তাই শেষই হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব আশা।

    ইংল্যান্ডও অবশ্য স্বস্তিতে নেই, চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রয়-মরগান। দুজনের চোট বড় কিছু হলে ম্যাচের পরিস্তিতি হয়ে যেতে পারে অন্যরকমও।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪.৪ ওভারে ২১২ (পুরান ৬৩, হেটমেয়ার ৩৯, গেইল ৩৬; উড ৩/১৮, আর্চার ৩/৩০)

    বিএম/এমআর