হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দেয় সাগরে!
    মিরসরাইতে সাবেক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার

    মিরসরাই প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে সাবেক এক সেনা সদস্যকে হত্যার পর তার লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। হত্যাকান্ডের দুইদিন পর রোববার (১৬ জুন) দুপুরে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্ল্যাহ পাড়া এলাকার একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।

    নিহতের নাম মো. নান্নু মিয়া (৫৫)। তিনি সাবেক সেনা সদস্যের (ল্যান্স কার্পোরল)। মো. নান্নু মিয়া মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে করিম গ্রুপের আওয়াতাধীন ওয়াহিদ কন্সস্ট্রাশনের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পশ্চিম দারাখোলা গ্রামের মো.আবদুল হকের ছেলে।

    মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়াহিদ কন্সস্ট্রাকশনে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, মো. নান্নু মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোম্পানীর মালামাল লুট করতে না পেরে দূর্বৃত্তরা তাকে মেরে ফেলে দেয় বলে কর্মরত শ্রমিকদের সন্দেহ হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়াহিদ কন্সস্ট্রাকশনে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা গত দুইদিন ধরে নান্নু মিয়াকে খোঁজাখুঁজি করে।

    খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রোববার সকালে অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্যা পাড়া এলাকার একটি খালে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

    লাশ উদ্ধারকারী ইব্রহীম নামে একজন জানান, নিহতের শরীর গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার নাক, কান কেটে ফেলা হয়, চোখ উপড়ে ফেলা হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানো দাগ রয়েছে।

    জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এটি একটি হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এবং কারা এর সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজ্জামেল হক জানান, সাবেক সেনা সদস্য হত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    বিএম/আশরাফ/রাজীব..