নববধূকে নিয়ে ঘর সাজানো হলো না আল মামুনের

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : নববধূর মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই নিভে গেল আল মামুনের জীবন প্রদীপ। গত ১৩ জুন ফটিকছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আল মামুন হোসাইনের বিয়ের বয়স মাত্র ছয়দিন।

    ঈদের পর ৭ জুন শুক্রবার নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের বিন্দারামপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। পারিবারিকভাবেই সদরের চন্দ্রাপুরের মেয়ে শর্মীকে বউ বানিয়ে ঘরে তোলেন আল মামুন। পরদিন ৮ জুন শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জুন রোববার মা ও নবধূকে নিয়ে ফিরে আসেন তার কর্মস্থল চট্টগ্রামে।

    আশা ছিল, নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নতুন করে ঘর সাজাবেন। ঘটনার দিনও স্ত্রী অপেক্ষায় ছিলেন, স্বামী ঘরে ফিরলে একসাথে খাবার খাবেন। না, আর খাওয়া হলো না। এক দূর্ঘটনা ভেঙে চুরমার করে দিল স্বামী স্ত্রী উভয়ের স্বপ্নগুলোকে।

    মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মামুনের বাবা আফজাল হোসেন ভাদুর ঝাঙ্গাল পুকুরিয়ায় ছোট্ট একটি মুদি দোকান আছে। মামুনেরা তিন ভাই বোন। মাহফুজা, মিনি, আল মামুন। মামুন সবার ছোট। অভাবী সংসারে ছেলেকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া করিয়েছেন। সবে দেড় বছর হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছেন।

    স্বপ্ন ছিলো, বাবার পাশাপাশি নিজেও আয় রোজগার করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। বাবাও খুশি হয়েছিলেন, এবার বুঝি পরিবারে একটু স্বচ্ছলতা আসবে। কিন্তু কে জানে মহান বিধাতার ইচ্ছার কথা, এভাবে অকালে নিয়ে যাবেন প্রিয় সন্তানকে। স্বচ্ছলতা হয়তো একদিন ফিরবে; কিন্তু ফিরবে না আল মামুন।

    বিএম/এম জুনায়েদ/রাজীব..