ক্ষতিপূরণ চাওয়া ডেঙ্গু রোগীর বাসায় ফল নিয়ে মেয়র খোকন

    মেয়র খোকন

    স্ত্রী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম। নোটিশ পেয়ে শনিবার ফলমূল নিয়ে সেই ওই রোগীকে দেখতে যান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন।

    শনিবার খিলগাঁও এলাকার আজম আলী মসজিদ সংলগ্ন একতা সড়কের ৮০৩/এ নম্বর বাসায় ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্তারকে দেখতে যান তিনি। এ সময় ওই বাসার চতুর্থ তলায় সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্তারের সঙ্গে মেয়র কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। রোগীকে দুই ডালা ফলমূল উপহার হিসবে দেন তিনি।

    মেয়র দেখতে আসার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, মেয়রকে বলেছি আর কেউ যেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেন গ্রহণ করেন। মশক নিধনের ওষুধ যেন ভালোভাবে ছিটায় তারা। মেয়র আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, মশক নিধনের জন্য ঠিকমতো ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, পাশাপাশি আরও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে দেখতে যান জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষ সর্বদাই নাগরিকদের পাশে আছে এবং পাশে থাকবে। তাই আতংকিত না হয়ে এ বিষয়ে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। এসময় তিনি মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির গৃহীত এবং চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, ১লা জুলাই থেকে ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি নাগরিক উদ্বুদ্বকরন ও সচেতন মূলক সভা, সমাবেশের আয়োজন, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংকরন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, অতিরিক্ত জনবল নিয়োজিত করে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কল সেন্টারের মাধ্যমে বিনামূল্যে নগরবাসীকে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেয়র সাঈদ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

    স্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলাকারী আইনজীবী তার বাসায় এসে রোগীর খোঁজ খবর নেয়ার জন্য মেয়র সাঈদ খোকনকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন. প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর জাহিদ হাসানসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/এমআর

    আরো :: ডেঙ্গুতে স্ত্রী আক্রান্ত, ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ