ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে সোমবার রাতে তাকে রাজধানীর দারুস সালাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১০ জুন দুদকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি অনুসন্ধান হতে তাকে দায়মুক্তি দিতে তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণে সমঝোতা করেন।
তিনি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ঢাকার রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে গ্রহণ করেন এবং অবশিষ্ট ১৫ লাখ টাকা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য তিনি গ্যাসচালিত একটি গাড়ি দাবি করেন। এছাড়া তিনি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবৈধভাবে পাচার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটিএন নিউজে প্রচারিত এই প্রতিবেদনটি কমিশন আমলে নিয়ে দুদক সচিব মো. দিলওয়ার বখত এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে কমিশন, দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।