বিটিভিতে ‘বুড়া-থুড়া মহিলাদের’ দিয়ে সংবাদ পাঠ করানো হচ্ছে : চুন্নু

    জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু বিটিভির সংবাদ উপস্থাপিকাদের ‘বুড়া-থুড়া মহিলা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন (সংশোধন) বিল ২০১৯’ পাস হয়েছে। বিলের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে জাপা সাংসদ এমন মন্তব্য করেন।

    মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এই বিল পাস হলে দেশে ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হবে, এমন নিশ্চয়তা কি মন্ত্রী দিতে পারবেন? বিটিভির অনুষ্ঠান ও সংবাদ পাঠিকার কাজ এমন সব লোককে দিয়ে করা হয়, যা অন্য চ্যানেলের তুলনায় মানসম্পন্ন নয়। বিটিভিতে চাকরি করেন এমন কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে এসব অনুষ্ঠান করানো হয়। সংবাদ পড়ানোর জন্য বুড়া-থুড়া মহিলাদের দিয়ে কাজ চালানো হয়।’

    তবে এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বয়স বেশি না কম; এটা কোনো কাজের মানদণ্ড হতে পারে না। কম বয়সী হলেই পারফরম্যান্স ভালো হবে, এমন কোনো কথা নেই।

    পরে তার এমন ‘অশোভন’ বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    জাপা সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী যতটা স্মার্ট, বিটিভি ততটাই আনস্মার্ট। বিটিভির মান মোটেই ভালো না। যেখানে অন্য চ্যানেল দেখা যায় না; সেখানের মানুষই শুধু বিটিভি দেখে।’

    বিলের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, দেশের চলচ্চিত্রের এখন চরম দুরবস্থা চলছে। একে একে সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। আকাশ সংস্কৃতি এতটা উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদলীয় সাংসদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতের চ্যানেল এখানে দেখা গেলেও আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো ভারত থেকে দেখা যায় না। প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে দলীয় আনুগত্য দেখে। ফলে এগুলোতে নিরপেক্ষ সংবাদ বা অনুষ্ঠান প্রচার হয় না। মানুষ তা দেখে না।’

    বিএনপির আরেক সাংসদ মোশাররফ হোসেন বলেন, বিটিভিতে আরও বড় পরিবর্তন এনে একে যুগোপযোগী করে তোলা দরকার। এই প্রতিষ্ঠান সব সময় সরকারি দলের সংবাদ প্রচার করে। বিরোধী দল ও তাদের বিষয়ে কোনো সংবাদ দেখতে পাওয়া যায় না।

    গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও বিটিভি দেখেন না। আগ্রাসন ও অপসংস্কৃতির ধাক্কায় দেশীয় চলচ্চিত্র ধ্বংসের মুখে।

    বিএম/এমআর