রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশকে মূল আসামিদের দিকে নজর দিতে বলেছে হাইকোর্ট

    বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মূল আসামিদের বাদ দিয়ে নিহতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে পুলিশের বেশি উৎসাহিত হওয়া কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

    বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ মন্তব্য করেন।

    একই সঙ্গে পিবিআই বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আদালত।

    রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দকে আদালত বলেন, পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে মিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে আসতে পারেন। স্বাধীন দেশে এটি সবার অধিকার। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

    শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর পরও তারা পুলিশের নজরদারির মধ্যে কীভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। পুলিশ সতর্ক থাকলে হয়তো রিফাতকে এভাবে প্রাণ দিতে হতো না। তাই মিন্নির প্রতি উৎসাহী না হয়ে মামলার মূল আসামিদের দিকে পুলিশের নজর দেয়া উচিত।

    তবে আদালত বলেন, পুলিশি তদন্তে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রধান সাক্ষী মিন্নি আসামি হতে পারেন।

    গত ২৫ জুলাই রিফাত হত্যা মামলায় পিবিআই বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মিন্নির পরিবারও পুলিশি তদন্তে অনাস্থা জানিয়ে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডিতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে। তবে তারা এখনও এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়নি।

    প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

    বিএম/এমআর