কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে একটি স্কুলের বাথরুম ও সিড়িতে রক্তের দাগ দেখে শিশুর মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে স্কুলের আশপাশ এলাকা। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা।
সোমবার (২২ জুলাই) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নের লালবেগ এলাকায় বেসরকারি ‘গ্রামার পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে’ ঘটনাটি ঘটে।
স্কুলে সকালের দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতল ভবনের স্কুলটির সিড়িতে লেগে আছে রক্তের দাগ। বার্থরুমের বেসিন ভাঙ্গা। মেঝেতেও হালকা লাল রঙ্গের আবরণ। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে মনসুর আলী নামক স্থানীয় এক যুবক গতরাতে মদ পান করে স্কুলের দ্বিতীয় তলার বার্থরুমে যায়। সেখানে বাথরুমের বেসিন ভেঙ্গে গেলে পায়ে গুরুতর জখম হয়।
ভাঙ্গা বেসিনে মনসুরের দুই পা কেটে গিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরে। ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বিদ্যালয়টির দারোয়ান। তিনি জানান, মুনসুর স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে বাঁধা দিয়েও আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে মুনসুর আলী পালাতক রয়েছে।
এদিকে সকালে স্কুলের সিড়িতে রক্তের দাগ ও বেসিন ভাঙা দেখে ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতংকিত হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে স্কুলের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় এবং মডেল থানাকে জানানো হয়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদও স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাহিদ শারমিন রুমি বাংলাদেশ মেইলকে বলেন, স্কুলের সাফল্যের হিংসার বশবর্তী হয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে। স্কুলটি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। তারই ফলশ্রুতিতে গতরাতে মদ্যপান অবস্থায় স্কুলের বার্থরুমের বেসিন ভাঙতে গিয়ে নিজের পা কেটে ফেলে আবুল মুনসুুুর নামে এক যুবক।
তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। রক্ত দেখে শিশুর মাথা কাটার গুজব ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ শিক্ষক জানায়, এ ঘটনায় বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। যথা নিয়মেই স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, বড় কোন ঘটনা না হলেও স্কুলে একটি অনাকাংকিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাছাড়া গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিএম/কামরুল/রাজীব..