হাতীবান্ধা শহরে বন্যার পানি, ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধ-রাস্তা

    লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বাঁধ ও রাস্তা ভেঙ্গে হাতীবান্ধা শহরে প্রবেশ করছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি আরো চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে। বন্যার পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করায় জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    তিস্তা পাড়ের লোকজন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বালু বস্তা দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও খালি বস্তার সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বাড়লেও জন প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেখা মিলছে না। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি শনিবার রাত ২ টা থেকে বিপদ সীমার ৫০ সে: মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর পাড়ের লোকজন আতংকিত হয়ে উঠছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তিস্তার চরের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

    একই সঙ্গে তিস্তা ব্যারাজ ও চর এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে। এ বাঁধ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এতে শত শত কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে। ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরো কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা যাচ্ছে না। পানির শো শো শব্দে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রূপ আর গর্জনে পানিবন্দি লোকজনের চোখে ঘুম নেই।

    তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরো কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।

    লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    বিএম/এমআর