মন্ত্রীসভা সম্প্রসারিত হতে পারে

    মন্ত্রিসভায় রদ-বদলের পরিবর্তে পরিসর বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান ওবায়দুল কাদের।

    মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর একটা সংবাদ এসেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি কীভাবে নিউজ পেলেন। আমি জেনারেল সেক্রেটারি জানি না। আমাদের স্পেক্টেকুলেশন আর বাস্তবতার মধ্যে একটা পার্থক্য থাকতেই পারে।

    বাহাউদ্দিন নাসিম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে তার সমর্থকেরা কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছুই হতে পারে। এটা (পরিসর বাড়ানো) এখনো গুঞ্জন-গুজবের পর্যায়ে আছে। প্রাইম মিনিস্টার তো আজ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। কিছু হলে সেটা অবশ্যই জেরারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি হিসেবে আমি জানবো। সে ধরনের কিছু এখনো আমি জানি না।

    ‘কেবিনেট সাফল-রিসাফলের বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আমার মনে হয় কিছু কিছু পদ-পদবি এখনো খালি আছে। কাজেই এখানে রিসাফলিংয়ের চেয়ে এক্সপাংশনের বিষয়টাই ফোকাসড। এক্সপান্ড হতে পারে। যেমন- মহিলা ও শিশু, এখানে মন্ত্রী নেই।’

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ছয় মাসে তো একজনের কর্মকাণ্ড-পারফরমেন্সের মূল্যায়ন করা যায় না। অন্তত এক বছর, দেড় বছর, দু’বছর যাওয়ার আগে… এসব বিষয়গুলো এখন আছে। এখন এক্সপাংশন হবে। রদ-বদল হয়তো কারো দপ্তর পরিবর্তন হবে, এমন হয়ে গেছে। কিছু মাইনর একটা চেঞ্জ হয়েছে।

    গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিন জন উপ-মন্ত্রী রয়েছেন। তিন মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় সামান্য রদবদল আনা হয়। সে সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল।

    মন্ত্রিসভার পরিসর সহসাই বাড়ছে কিনা- প্রশ্নে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে ফিরে এলে তখন এটা জানবো। আমার মনে হয় না খুব সহসাই হচ্ছে।

    বিএম/এমআর