কিম উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান

    পূর্বের সংবিধানে কিম জং-উনকে সাধারণভাবে কমিউনিস্ট শাসিত উত্তর কোরিয়ার ‘শীর্ষ নেতা’ বলা হয়। এবার সেটি সংশোধন করে উত্তরাধিকার সূত্রে তৃতীয় প্রজন্মের নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান এবং সেনাপ্রধান ঘোষণা করা হয়েছে।

    স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নতুন সংবিধানে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সরকারি গণমাধ্যম নায়িনারায় দেশটির নতুন সংবিধান প্রকাশিত হয়। বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রস্তুতি হিসেবে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

    সংবিধানে ২০১৬ সালে গঠিত শীর্ষ পরিচালনা পর্ষদ স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনের (এসএসি) চেয়ারম্যান কিম জং-উনকে ‘কোরিয়ার নাগরিকদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি’ বলা হয়। এর মধ্য দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সেনাপ্রধানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

    এর আগে উত্তর কোরিয়ার সংসদীয় প্রেসিডেন্টই ছিলেন দেশটির আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান। দেশটির সংসদীয় প্রেসিডেন্টকে ‘প্রেসিডিয়াম অব দ্য সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি’ বলা হয়।

    সিউলের ক্যুংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার ইস্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক কিম ডং-ইয়াপ বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন কিম। সেই স্বপ্ন তিনি সত্যি করেই ছেড়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে আটকে থাকা সেনাবাহিনীকে প্রাধান্য দেওয়া অস্বাভাবিক নীতি শুধরানোর চেষ্টা করছিলেন।

    কিম গত বছর থেকে অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে নিজেকে বিশ্ব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

    বিএম/এমআর