বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাটা কিন্তু অব্যাহত রেখেছি। এই ১০ বছরে হোঁচট খাইনি কিংবা পিছিয়ে যাইনি, আবার হঠাৎ করে লাফও দিইনি। খুব স্থিরভাবে ধাপে ধাপে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই।’

    শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার সূচনা বক্তব্যে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    উন্নয়নের যাত্রাপথে বাধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই চলার পথ কিন্তু খুব সহজ ছিল না। প্রতি পদে পদে বাধা, অগ্নি-সন্ত্রাস, খুন, নির্যাতন অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। তারপরেও কিন্তু এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’

    উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক শক্তি, সাংগঠনিক শক্তি ও জনগণের সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে; আজকে সরকার গঠন করে এগিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি; সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল দেশের জনগণ, তাদের সমর্থন। আর অবশ্যই মহান আল্লাহর একটা রহমত ছিল।’

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের একটা চিন্তাভাবনা,পরিকল্পনা ছিল। সরকারে আসলে কী করব? কোথায় যাব? সেগুলোর সবকিছু মোটামুটি একটা তৈরি করা ছিল বলেই সরকারে আসার পর কাজগুলো করতে পেরেছি। আগামী দিনে দেশকে কোথায় নিয়ে যাব? সে পরিকল্পনাও আমাদের আছে।’

    ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এজন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

    সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়, কিছু লোক সবসময় এটাকে ভিন্ন চোখে দেখে। এরা আসলে কখনো গণতান্ত্রিক ধারাটা চায় না। তাদের কাছে মনে হয় যেন অস্বাভাবিক কিছু হলে তাদের খুব দাম বাড়ে।’

    দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা হচ্ছে, কোথাও নদী ভাঙন হতে পারে বা পাহারে ধস নামতে পারে। সারাদেশে কোথায় কী ঘটছে খবর নিচ্ছি। এবং সেখানে যার যা দায়িত্ব সেটা দেওয়া আছে। এখনে এতটকু শৈথিল্য নেই। কারণ তাদের সব কাজ আমাকে সাথে সাথে ম্যাসেজ দিয়ে জানাতে হয়।’

    এ সময় দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতির তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু অবহেলা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করি না। মানুষের সুখ দু:খের সাথী হয়ে, মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করা- এই নীতি নিয়ে কাজ করি বলেই আজকে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

    বিএম/এমআর