জিয়া হত্যাকাণ্ডে লাভবান হয়েছেন খালেদা : তথ্যমন্ত্রী

    ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কিনা, সেটা দেখা দরকার। জিয়া হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া’

    শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসন হয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কেন জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার করলো না। খালেদা জিয়া দুইবার ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা করলেন না কেন, মামলাটা চালালেন না কেন?’

    বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ও স্বাধীন বংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে ধরে এনে বিনা বিচারে হত্যা করেন। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া দরকার। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তদন্ত কমিশন করে জিয়াসহ তাদের বিচার হওয়া দরকার।’

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হতে হলে জেলের ভয় পেলে হয় না। সাত সমুদ্র ১৩ নদীর ওপার থেকে নানা কথা বললে হয় না। সাহস দেখাতে হয়, গ্রেফতার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ভয় পেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি হওয়ার সময়ের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘গত ৩৮ বছরে শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা, দুর্বিপাক উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পাশে ছিলেন, আছেন। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন।’

    নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, সরকার তাদের বিচার করছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিচার সমাপ্ত করতে সময় লাগছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে তাদের নির্মূল করতে হবে।’

    বিএম/এমআর