খানাখন্দে ভরে আছে মহাসড়ক : সীতাকুণ্ড অংশে যানচলাচলে ভোগান্তি

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : অসংখ্য খানাখন্দে ভরে আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশের মহাসড়ক। টানা বর্ষন ও নিম্মমানের কাজের কারণে এসব সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

    অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশে বিশাল-বিশাল গর্তগুলোতে পানি জমে রয়েছে। সড়কের বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে নুড়ি পাথর উঠে গিয়ে রাস্তা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ৪৮ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। কয়েক মাস ধরে এখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দুঃসহ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।

    মহাসড়কের এ অংশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সীতাকুণ্ডের বড় দারোগাহাট, ছোট দারোগাহাট, সীতাকুণ্ড দক্ষিণ বাইপাস, ফকিরহাট, কুমিরা বাইপাস, জোড় আমতল ফকিরহাট, বিশ্ববিদ্যালয় গেট, পাক্কা মসজিদ, বারআউলিয়া, ফুলতলা, চৌধুরীঘাটা, কাসেম জুট মিল, মাদাম বিবিরহাট, ভাটিয়ারী, বিএমএ, জলিল গেটসহ অন্তত ৩০ কিলোমিটার সড়কেই খানাখন্দ।

    সড়কের এ অংশটি সম্প্রসারিত চার লেন প্রকল্পের দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স কয়েকবার সংস্কার করেছে। কিন্তু কোনো সংস্কারই স্থায়ী হচ্ছে না। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।গাড়ির চাকার স্প্রিং ভেঙ্গে গাড়ি বিকল হচ্ছে।

    ব্যস্ততম এ মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে যায়। কথা হয় বেশ কয়েকজন গাড়ির চালকের সঙ্গে। তারা জানান, প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট গর্তগুলোর কারণে গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টার চেয়েও বেশি লাগছে। গর্তগুলোর কারণে গাড়ি বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি করছে।

    বিএম/রাজীব..

    আরো : সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে জিপিএইচ কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়