অনলাইন মিডিয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে

    সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে এমন নিউজ পোর্টালগুলোকেই সরকারের তরফ থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে এই সেকশনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

    সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ কার্য অধিবেশনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তথ্যমন্ত্রী।

    পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কতোদিন সময় লাগবে, প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একটু সময় লাগবে। আট হাজারতো, যাচাই-বাছাই করতে সময় লাগবে, যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে। যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসাবে কাজ করে তাদেরকে সহসাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবো। আর যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোতো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেতে হবে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বাংলাদেশে নয়, সব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যাবো। দেশে এখন চতুর্থ বিপ্লব চলছে। এই চতুর্থ বিপ্লবই হচ্ছে আইসিটি যুগ। এগুলোকে সমন্বিত করেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

    হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আপাতত দেশের ২৭ জেলায় তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। বাকি জেলাগুলোতেও নির্মিত হবে, এজন্য স্থান নির্বাচন করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেসব কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাসহ সিনেমা প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

    ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কয়েক দিন আগ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে একটি বিশৃঙ্খলা ছিল। বাংলাদেশের চ্যানেলের মধ্যে হঠাৎ বিদেশি চ্যানেল ঢুকে যেতো। ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বা অন্যকোনো বিষয়ের আলোকে সেখানে সিরিয়াল নির্ধারণ করা হতো। এখন সেখানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে আগেও জরিমানার নির্দেশনা ছিল, আজকেও দিয়েছি।

    আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা- প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট হচ্ছে একজন সাংবাদিক, একজন গৃহিনী, একজন দিনমজুর, সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবীর নিরাপত্তার জন্য। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এটি যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমরা সেখানে আলোচনা করেছি।

    বিএম/এমআর