সার্জেট কিবরিয়ার মৃত্যুতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

    দুর্ঘটনায় ছেলে ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করেছেন বাবা মো. ইউনুস আলী শিকদার।

    আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিহতের বাবার পক্ষে আইনজীবী মো. ফাইজুল্লাহ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

    বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

    গত ১৫ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কাভার্ডভ্যানচাপায় আহত হন বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    ১৫ জুলাই সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠী জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।

    কাভার্ডভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল সিকদার এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। এতে তাঁর দুই পায়ের চারটি স্থান ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
    কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাঁকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

    সার্জেন্ট কিবরিয়া দীর্ঘদিন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে ছিলেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আটক জলিল সিকদার টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার কুচ্ছামারি এলাকার বাসিন্দা।

    চালক মো. জলিল সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। বরিশাল নগরের বন্দর থানায় ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

    বিএম/এমআর