রিফাত হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তরের দাবি মিন্নির বাবার

    বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালীদের আড়াল করতেই তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

    এই মামলার তদন্তভার পিবিআই’তে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় এক বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এদাবি জানান তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “গত ২১ জুলাই রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলন করে আমি ও আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতেই মিন্নিকে ১ নম্বর সাক্ষী থেকে আসামি হতে হয়েছে। আমি মনেকরি এটা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।”

    তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনা আড়াল করতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে রিফাত হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে আড়াল করা সম্ভব।

    মিন্নির বাবা বলেন, “২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার মেয়ে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেখানে উপস্থিত কেউ এগিয়ে না গেলেও আমার মেয়ে মিন্নি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রের মুখে দাঁড়িয়ে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে মিন্নি দেশবাসীর কাছে সাহসী নারী হিসেবে পরিচিতি পায়।”

    “এরপর দুলাল শরীফ বরগুনা সদর থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে মিন্নিকে রাখা হয়। প্রভাবশালী মহলের চাপে গত ১৩ জুলাই মিন্নির গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দুলাল শরীফ। এরপর মানববন্ধন করে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। ১৬ জুলাই পুলিশ মিন্নিকে আসামি সনাক্ত করার কথা বলে বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসে। প্রায় এগার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে”, বলেন মোজাম্মেল।

    তিনি দাবি করেন, পুলিশি নির্যাতনের কারণে মিন্নি ভারসম্যহীন হয়ে পড়েছেন। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করতে মিন্নিকে মেয়েকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি মনে করেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে এবিষয়ে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

    সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির মা এবং ছোট ভাই ও বোন উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/এমআর