সীতাকুণ্ডে ছেলে ধরা গুজবে মহিলাকে গণপিটুনীর ঘটনায় মামলা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে ছেলে ধরা বলে রেহেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ঘটনায় সুনিদিষ্ট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রেহানা বেগমের ভাগনে।

    বুুধবার সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সলিমপুরের বাংলাবাজার এলাকায় ৫ বছর বয়সী শিশু আরফাতুল ইসলাম সিফাতকে নিয়ে পালানোর সময় এক নারীকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয় তাকে।

    দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করে রেহেনা বেগমের ভাগনে নুরুল ইসলাম জানান, আমার খালা রেহেনা বেগম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। গত ২০ জুলাই ভোর বেলায় তার নিজ বাড়ি হাটহাজারী থানার আলীনগর (বাচা মিয়া সড়ক বাড়ি) হতে কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

    উদ্দেশ্যেহীনভাবে চলাচলের এক পর্যায়ে সকাল ১০ টার সময় সীতাকুণ্ড থানার সলিমপুর ইউনিয়নস্থ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের বিপরীতে পুরাতন দাইয়া বাড়ির ভাড়াটিয়া সজলের ঘরে পানি খেতে গেলে তাহার শিশু পুত্র সিফাত (৫) আমার খালাকে দেখে চিৎকার করে দৌড় দেন।

    তখন ছেলে ধরা বলে পারভেজ, বেলাল, রনি, নজরুল, মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জন স্থানীয় এলাকাবাসী ভারসাম্যহীন আমার খালাকে গণপিটুনী দিয়ে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এবং অশ্লীলতাহানী করে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে দেয়।

    ঘটনার তদন্ত শেষে রেহেনা বেগম মানসিক রোগী বলে নিশ্চিত হলে রেহেনা বেগমের ভাগনে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

    এব্যাপারে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিক আহমেদ মজুমদার বলেন, ওইদিন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনারস্থলে গিয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে আটক মহিলাটিকে উক্তেজিত এলাকাবাসী থেকে রক্ষা করি।

    আরেকটু দেরী হলে হয়তো মহিলাটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। সে সময় মহিলাটি ঠিকমত ঠিকানা বলতে না পারায় তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে ধারনা করা হয় এবং তাকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    বিএম/কামরুল দুলু/রাজীব..