প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করেছে সৈয়দপুরের ইউসুফ ডেইরী ফার্ম

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ কোরবানির জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা গরু। কৃত্রিমতা ছাড়াই গরু হৃষ্টপুষ্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাঁশবাড়ি এলাকার যুবক জামিল আশরাফ মিন্টু।

মাত্র চারটি গরু দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন তার ফার্মে দুই শতাধিক গরু রয়েছে। ফার্মটির নাম দিয়েছেন ‘মেসার্স ইউসুফ ডেইরি ফার্ম’। ফার্মটিতে তিনি এক কোটি ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

কথা হয় জামিল আশরাফ মিন্টুর সঙ্গে। তিনি বলেন, পৈত্রিক ব্যবসা হচ্ছে গুলের ব্যবসা। রাজধানী ঢাকাসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে এক নামে চেনে বাবার ‘খালেদ গুল’। তবে বাবার এ ব্যবসায় নিজেকে না জড়িয়ে ২০১২ সালে চারটি গরু দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এরপর আস্তে আস্তে এর প্রসার ঘটে। বর্তমানে খামারে ১৫ জন কর্মচারী রয়েছে। তারা দিনরাত কাজ করছে। প্রতিজনের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমার ফার্মের গরুগুলো মোটাতাজা করার জন্য ইনজেকশন, ট্যাবলেট বা কোনো ধরনের বড়ি ব্যবহার করা হয় না। খামারে দেশি, সাইবল, ফ্রিজিয়ান, শংকর জাতসহ নানা জাতের গরু রয়েছে। চোকর, মসুর ডাল, চালের খুদ, নেপিয়ার ঘাস ইত্যাদি খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ কওে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গরুগুলো। খামারে সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা দামের ষাড় রয়েছে। ইতোমধ্যে কোরবানিদাতারা খামারটি পরিদর্শন করে ১৫টি গরু অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন।
খামারটির বৈশিষ্ট হচ্ছে কোরবানির গরু কেনার পর খামারে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। গরু কোরবানিসহ বাসাবাড়িতে মাংস পৌঁছানোর সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া গবাদিপশু বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সনদপত্র দেওয়া হয়। এসব কারণে খামারে গরু ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। শুধু ঈদুল আজহার জন্য নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাংস সরবরাহ করে থাকে খামারটি।

নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, মেসার্স ইউসুফ ডেইরি ফার্মটি পরিবেশবান্ধব। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে গরু লালন-পালন করা হয়। যা অনেকের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে।

বিএম/মনন