শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়

    কলম্বোয় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ৭ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন অভিষেক ফার্নাদো। ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাথুইজ।

    বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার ফার্নাদো ও দিমুথ করুনারত্নে। টার্গেট বড় না হলেও ঝড় গতিতেই ব্যাট করেছেন ফার্নাদো। শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট ভাঙে দলীয় ৭১ রানে। মিরাজের বলে বোল্ড হন করুনারত্নে। অবশ্য তবুও ঝড়ো ব্যাটিং বন্ধ করেননি ফার্নাদো।

    কুশল পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে দলের রান বাড়াতে থাকেন ফার্নাদো। দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। ব্যক্তিগত ৭৫ বলে ৮২ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন ফার্নাদো। তার বিদায়ের একটু পরেই কুশল পেরেরা আউট হলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটি নিজেদের দিকে নিয়ে যান কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুইজ।

    দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে এগোতে থাকে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত মেন্ডিসের অপরাজিত ৪১ ও ম্যাথুইজের অপরাজিত ৫২ রানে জয় পায় লঙ্কানরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে শ্রীলঙ্কা।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর আশ্বাস দিয়েও ব্যর্থ ওপেনাররা। বরাবরের মত এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১১ করে নুয়ান প্রদীপের বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হন সৌম্য। বরাবরের মত রান পাননি তামিম ইকবালও। দলীয় ৩১ রানে উদানার বলে ব্যক্তিগত ১৯ রান করে বোল্ড হন তামিম।

    তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু দলীয় ৫২ রানে আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে ক্যাচ আউট হন মিঠুন। তিনি বিদায় নেন ২৩ বলে ১২ করে। মাহমুদউল্লাহও মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৮ বলে ৬ রান করে ধনাঞ্জয়ের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। সাব্বির কিছুটা আশা দেখালেও সেই জুটি বড় হয়নি ভুল বোঝাবুঝির কারণে।

    দলীয় ৮৮ রানে রান আউটের শিকার হন সাবির (১১)। মোসাদ্দেক হোসেনকে মুশফিক জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ১১৭ রানে উদানার বাউন্সে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মোসাদ্দেক। তবে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় ৭ম উইকেট জুটিতে। রিয়াদ, মোসাদ্দেকরা না পারলেও মিরাজ ঠিকই মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দেন। মুশফিকের সঙ্গে ব্যাট হাতে রান করেন মিরাজও। সেই জুটি থেকে আসে ৮৪ রান।

    এ দুইজনের ৮৪ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর দাড় করাতে পারে বাংলাদেশ। মিরাজ বিদায় নেন ৪৩ করে। তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মুশফিক। তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ২৩৮-৮ (ওভার ৫০)

    মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৪৩: আকিল ২-৩৯

    শ্রীলঙ্কা ২৪২-৩ (ওভার ৪৪.৪ )

    ফার্নাদো ৮২, ম্যাথুইজ : মুস্তাফিজ ২-৫০

    সেরা খেলোয়াড় : ফার্নাদো

    বিএম/এমআর