ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়িতে সাব্বির উদ্দীন ইকন (১৭) নামে এক কিশোর খুনের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঋণগ্রস্থ হয়ে ঋণের টাকা পরিশোধের লক্ষ্য স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিতে ছুরিকাঘাত করে বন্ধু ইকনকে হত্যা করে তারই বন্ধু তনয় বড়ুয়া তনা (২৩)।
আজ ৩০ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাটহাজারী সার্কেল আব্দুল আল মাসুম। তিনি বলেন, ভিকটিম সাব্বির উদ্দিন ইকনের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা সাহাবুদ্দীন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং২৩। ২৬/৭/১৯ ইং।
এরপর এ হত্যাকান্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আলামত ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ২৭ জুলাই ঘটনার সাথে জড়িত তনুয় বড়ুয়া তনা(২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি টেলিভিশন,একটি উড়না উদ্ধার করে। গতকাল জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতে ইকনকে হত্যা করার কথা সে স্বীকার করে।
সে তার জবান বন্ধীতে বলেন, ইকনের সাথে তার বন্ধুর্তপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সে ঋণগ্রস্থ থাকায় ইকনের স্মাটফোনটির উপর চোখ পড়ে। স্মার্টফোনটি নেওয়ার লোভে ঘটানারদিন ইকনকে সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটবে বলে একটি ছুরি নিয়ে যায়। সে ছুরি দিয়েই ইকনকে গলা কেটে হত্যা করে।
তনয় বড়ুয়া উপজেলার আদ্বুল্লাহপুর ইউনিয়নের মৃত বাবন বড়ুয়ার পুত্র। বর্তমান পালক পিতা হচ্ছে সুন্দরপুর দক্ষিন ছিলোনিয়ার অশোক কুমার বড়ুয়া।
জানা যায়, ফটিকছড়ি বিবিরহাটস্থ চৌধুরী ভবনের বাসিন্দা মোঃ সাহাব উদ্দীনের পুত্র সাব্বির উদ্দীন ইকন(১৭) ২৫ শে জুলাই বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় বিবিরহাট ২নং আলী আকবর রোডস্থ হাজারী সাউন্ড হতে টেলিভিশন মেরামত করে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর বন্ধু-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজনের কাছে তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার পিতা সাহাব উদ্দীন ফটিকছড়ি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন।
নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কের পাইন্দং নতুন মসজিদ সংলগ্ন আকাশি বাগানে গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানিয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বিএম/এম জুনায়েদ/রাজীব..