ঈদের আগে গাইবান্ধায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

    ঈদুল আযহার আগেই গাইবান্ধার ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কার করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তাই দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

    বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানির তোড়ে গাইবান্ধার ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ শুক্রবার দুপুরে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরে গাইবান্ধার বাদিয়াখালি রেল স্টেশনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব করা বলেন।

    ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন সংস্কারের কাজ চলছে

    এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাদ গাওহারী, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, বন্যায় সান্তাহার-লালমনিরহাট রেল রুটের গাইবান্ধার আপ স্টেশন ত্রিমোহিনী-বাদিয়াখালী-বোনারপাড়া জংশন পর্যন্ত এক হাজার ফুট রেললাইনের নিচের মাটি ও পাথর বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এসব এলাকায় ঝুলে আছে রেললাইন। এছাড়া আরও একাধিক স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তাতে বন্যার পানি জমেছে। ফলে গত ১৭ জুলাই বুধবার থেকে একটানা ১৭ দিন যাবত এই রুটে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের রেলযাত্রীরা।

    তবে বিকল্প পথে বর্তমানে এই রুটে করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেন এখন সান্তাহার থেকে গাইবান্ধার বোনারপাড়া পর্যন্ত চলাচল করছে।

    এছাড়া দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস এক্সপ্রেস ট্রেন দিনাজপুর থেকে গাইবান্ধা, সেভেনআপ ও এইট ডাউন মেইল ট্রেন পঞ্চগড় থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত সাময়িকভাবে চলাচল করছে।

    এদিকে রংপুর ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি কাউনিয়া-পার্বতীপুর-সান্তাহার রুট ব্যবহার করে ঢাকায় যাওয়া-আসা করছে। অন্যদিকে, ১৯/২০ বগুড়া এবং পদ্মরাগ ট্রেন দুটি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

    বিএম/এমআর